#Day30 #Ramadan 2021
বুধবার, ১৩ এপ্রিল।
রাসূলাল্লাহ (স) ইরশাদ করেন: প্রত্যেকটি জাতির ঈদ আছে আর এটি আমাদের ঈদ।
এই মাত্র ইউসুফকে ঘুম ধরিয়ে লিখতে লাগলাম। টুকিটাকি এদিক ওদিকের একটু সাধারণ জ্ঞান তাকে দিয়ে থাকি। এই বছর তাকে দারুল হুদায় প্রবেশিকা পেতেই হবে। তারপর মেসেঞ্জার ও হোয়াটস অ্যাপে রিপ্লাই দিয়ে এলাম। ভাবছি আর কেউ ডিস্টার্ব করবেনা। কিন্তু এবার রিপ্লাইয়ের রিপ্লাই আসছে দেখছি। ব্যাটারি নেয় বলে ডাটা অন রেখেছি। যতো তাড়াতাড়ি মোবাইল সুইচ অফ হবে ততো তাড়াতাড়ি ঘুমাবো। সাধারণত দশটা থেকে সাড়ে দশটার মধ্যেই আমি ঘুমিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। নোটিফিকেশন উপেক্ষা করে লিখতে আরম্ভ করলাম গত কালকের দিন।
কেরালায় আজ ঈদ। আমাদের আগামী কাল হবে। কেরল সর্বদা সব ক্ষেত্রে বাকি ভারতের থেকেও এক কদম আগে। উনাইস উস্তাদকে 'পীড়িত ফিলিস্তিনের নামে...' প্রবন্ধটি পাঠিয়ে দিলাম। ঈদের শুভেচ্ছা দিয়ে উত্তর দিলেন। 'ঈদ মুবারক' বলে সকল উস্তাদদের স্ট্যাটাস রিপ্লাই দিলাম। ইংলিশ কোর্সটিও আজ শেষ করলাম। যে অংশ গুলি বাকি থেকে গেছে পড়ে সম্পূর্ণ করে নেবো।
এইরকমই অসম্পূর্ণ থেকে গেলো একবার খাত্মুল কুরআন ও দ্য ফোরটি রুলস অফ লাভ শেষ করার ইচ্ছা। আমার মনোরথ, ২৬ মে ক্যাম্পাস খুলার আগে এই দুটি অসম্পূর্ণ কাজকে পরিপূর্ণ করবো। ইনশা আল্লাহ্।
খেলা হচ্ছে কি না জানার জন্য সুমন বারবার ফোন করছে। পলশার ছেলেরা আজ আসেনি। তবুও তাকে ডাকলাম নিজেদের মধ্যেই খেলার জন্যে। কেফায়কে সঙ্গে নিয়ে গেলাম, কিন্তু ম্যাচ আরম্ভ হয়নি। সে ঘুরে বাড়ি চলে গেলো। আসর নামাজের পর ঈদ মিটিং ছেড়ে আবার গেলাম খেলার মাঠে। মিটিং-এ মাথা ধরে গেছিলো। এদের যে বাচ্চাদের নিয়ে কি শত্রুতা আছে?
মাঠে গিয়ে দেখি বেশ খেলা আরম্ভ হয়ে গেছে। একজন বল, একজন ব্যাট একজন কিপার মাঠে একাই একাই খেলছে। বাকিরা আলের ধারে বসে আরম্ভ করেছে ডিজিটাল খেলা ফ্রি ফায়ার। চারিদিক দিয়ে দর্শকেরও ভিড় খুব। আমিও ওই তিনজনের সঙ্গে যোগ দিলাম। ডেকে ডেকে শেষ সময়ে ফ্রি ফায়ার ছেড়ে ক্রিকেট খেলতে নামে। কিন্তু শাকির যে মারলো না! বল একেবারে কিপারের হাতে, কিন্তু ব্যাট মাটির সঙ্গে মিশে জোর আওয়াজের নিজে ভেঙে খেলা ভেঙে দিল। তবুও ওতেই চলল খেলা।
আজ আলীকে ফোন করলাম। প্রায় প্রতিদিন কোন এক বন্ধুর ফোনে খবর নিয়ে থাকি। ওরা প্রায়ই করেনা। অনীকুল কখনও কখনও করে। সামাদের সঙ্গে তো প্রায় প্রত্যেকদিন বলি। তার সঙ্গে আমার ব্যাপার আলাদা।
আগামী কাল ঈদ। আমাদের এলাকায় উন্মুক্ত আনন্দ উপভোগের রেওয়াজ নেয়। বাচ্চারা তবুও চাঁদ দেখে বেড়াচ্ছে। মা জোর করে আমায় মেহেন্দি লাগাতে পারেনি। তারানার একে, ওকে, পারার চাচিকে মেহেন্দি লাগিয়ে দিচ্ছে। রুয়াইদার আবার পছন্দ হয়নি। সে বড়ো অভিমান আরম্ভ করেছে। আব্বা মাংসের অর্ডার দিয়ে এসেছে। দাদী পিসিদের বার বার ফোন করার জন্যে বিরক্ত করে যাচ্ছে। আজ নটার আগেই ঘুমায়ে পরি। সকাল সাতটায় ঈদের নামাজ আদায়ে মসজিদে যেতে হবে।
Comments
Post a Comment