#Day28 #Ramadan 2021
মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল।
আপনি বলুন, 'আল্লাহরই অনুগ্রহ ও তাঁরই দয়া, এবং সেটারই উপর তাদের আনন্দ প্রকাশ করা উচিত। তারা তাদের সমস্ত ধন-দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়।' (সূরা ইউনুস: ৫৮)
গতকাল সিদ্দিক উস্তাদ হোয়াটস অ্যাপে মেসেজে লের্ন এলটনগল কোর্সটি কমপ্লিট করতে বলেন। কিছু লেসন ছেড়ে সাতটি ইউনিট সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। আর একটি বাকি আছে। এই শেষ ইউনিটে দুটি অ্যাসেসমেন্ট আছে যার প্রত্যেকটিতে একশো একশো মার্ক দেওয়া হয়েছে। আজ রাত্রে একটি শেষ করবো।
দুপুরের আগে নিরুপায় ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলি প্রশাসনের নির্মম আক্রমণ সম্পর্কে একটি স্ক্রিপ্ট তৈরি করলাম। ভিডিও বানাতে আসর পর সময় লেগে গেলো। ভেবেছি ইসলাম ওয়ান ওয়েবের জন্য উক্ত বিষয়ে একটি প্রবন্ধও লিখবো।
যুগের পর যুগ ধরে বার বার ফিলিস্তিনিরা অত্যাচারের, রাজনীতির শিকার হয়েছে। জেরুসালেম ও মসজিদুল আকসা তাদের ধর্যের, ঝড়ে যাওয়া রক্তের ও উন্মাদ সম্পর্কহারা শিশু, যুবক, মহিলা, পুরুষ, বৃদ্ধের মনোবেদনার সাক্ষী। অবশ্যই সেই পবিত্র মাটিতে শায়িত মহত্ব মনীষীরা তা দেখছেন, শুনছেন এবং হয়তো আরও সহ্যের উপদেশ দিচ্ছেন।
সেই নিরব মহারজনীর নিঃশব্দতাকে অত্যাচারী ইসরাইলী পুলিশ প্রশাসনের গুলি, গ্রেনেড ও বারুদের আওয়াজ ভেঙে দিয়েছে। সমস্ত বাহ্যিক চিন্তা ভাবনা ও ক্রিয়াকলাপ থেকে ফিলিস্তিনের হস্তদ্বয় যখন ইশ্বর স্মরণ ও সমর্পনে পেটের ওপর আবদ্ধ তখন তাদের ওপর চোর সন্ত্রাসী হিংস্র খেকশিয়ালের আক্রমণ হয় - সারা পরিবেশ, উন্মোক্ত আকাশ, প্রবাহিত বাতাস ও পুরো পৃথিবী এর দর্শক। নিখিল নিবাসী কোনদিন ক্ষমা করবেনা। প্রস্তুত হয়, হে আশ্রয়হীন খেকশিয়ালের দল, সম্বদ্ধ হয়ে আসছে ফিলিস্তিনি নিশান। উড়িয়ে নিয়ে যাবে তোমাদের। তোমাদের সপ্নের বৃক্ষ শিকরও ধরে রাখতে পারবেনা।
সেই তরুণী তার বোনকে না বাঁচাতে পেরেও বিজয় উল্লাস উদযাপন করবে। বিজয় নিশান উড়াবে পিতাহারা সেই খোকা যে জন্মের পর শান্তির ধ্বনি আযান শুনবার আগেই শিয়ালদের অত্যাচারের হাহাকার আওয়াজ তার কানে গুঁজে উঠেছিল। তুবও সে নিরাশ হয়ে ফিরে যায়নি, বরং বিপ্লবী হয়ে নবরুপ নিয়ে নবারণ হয়ে এসেছিল। শেখ জাররাহতে ঘরহারা, পরিবার হারা সেই বৃদ্ধাও অংশগ্রহণ করবে। বয়ে যাবে নালাপরা তার গাল দিয়ে সুখিয়ে যাওয়া চোখ থেকে আনন্দের অশ্রুপাত। চিৎকার করে রাস্তায় দৌড়ে বেড়াচ্ছিল সেই পিতাও থাকবে, সে জানে তার ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী এই বিজয় ভোজনে অংশ নেয়নি তবুও তাদের দুহাত দিয়ে স্বাদ চাখাবে। সে ছোট মেয়েটি বলবে: আলহামদুলিল্লাহ! আমি মসজিদুল আকসায় সাজদাতুল শুকর আদায় করলাম।
শেষবারের মত একবার হোয়াটস আপ খুলে দেখে নেয় বলে চালু করলাম। দেখি দারুল হুদা সেকেন্ড ব্যাচ গ্রুপটিতে বেশ চর্চা চলছে। আমিও আরম্ভ করলাম। শাহাদাত, আর্জান, নুর হাসান, মাসুদ, সোহেল আরও অনেকই এক্টিভ ছিল। কিছুক্ষন পরে গুডনাইট বলে চলে আসতেই একজন বলে ভাবির সঙ্গে কথা বলতে ছেড়ে যাচ্ছ নাকি? কিছু কথায় উত্তর না দিয়ে সালাম করে বেরিয়ে এলাম। তারপর কোর্সটির একটি অ্যাসেসমেন্ট পুরো করলাম। একশোতে একশো পায়নি। পরে একটা একটা করে আবার এটি করতে হবে।

Comments
Post a Comment