#Day21 #Ramadan #রমযান
মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল।
"যদি কোনো ব্যক্তি রোযা রেখে মারা যায়, তার উত্তরাধিকারী (তাদের মধ্যে যে কেউই) তার পক্ষ থেকে রোযাটি আদায় করে নিবে।" (বুখারী ও মুসলিম।)
পরীক্ষা শেষে নাফি উস্তাদ সবাইকে ডাকলেন। উদ্দেশ্য জানায় যাচ্ছে বেতনের মিটিং। মক্তবের চার হাজার, কোচিংয়ের চারশো আশি আর দুটি মহিলা ক্লাসের তিনশো টাকা পেলাম। এতো বড়ো বেতন জীবনে প্রথম। উত্তেজনায় অতি তড়িঘড়ি সব কাজ গোটাগুটি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হলাম। তার আগে মীর আর যায়দকে প্রশ্নপত্র চেক করতে দিয়ে দিলাম। বাড়িতে কে আবার ঝামেলা করবে? ক্যাম্পাসে বিছানা আর সাইকেল রাখতে গিয়ে শাফী উস্তাদ, আশরাফ উস্তাদ, আর নাফি উস্তাদকে দেখাও করে নিলাম। অন্য যে উস্তাদের সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম তাদের সালাম করে রওনা হলাম। এই প্রথম সিধা ভীমপুর থেকে শার্ট পরে বের হওয়া। একটু অতস্তত বোধ হচ্ছিল।
বার হওয়া মাত্র আব্বাকে ফোন লাগালাম। মা উঠালো। এতদিন ধরে মিক্সচার মেশিনের দাবিদার মা আজ আবার টাকার কথা শুনে মানা করতে লাগলো। আব্বাও বললেন; না এখন কিনতে হবেনা। তারানার বিয়ের সময় লিবো। টাকার এখন দরকার। সামনেই ঈদ। কালকে আবার আড়ায় হাজার টাকার দরজার চৈখাট কিনেছি।
আচ্ছা ঠিক আছে আর কিনবো না, আব্বা।
বাড়ি এসে সিধা চকিতেই ঘুমিয়ে পড়লাম। দমদমা থেকে রদিপুর আসতে ত্রিশ টাকা নিলো সেই টোটোবালা।
বৈকালে গেলাম মাদ্রাসার দিকে। রাস্তা ফাঁকা, ভয় ভয় লাগছিল। খুব কড়া লকডাউন যে। কেফায়, সামিউল্লাহ ও ফখরুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল, কিন্তু খালিদকে ফোনে পেলামনা।
রাত্রে তারাবি আদায় করে খেয়ে দেয়ে একটু মোবাইল চালিয়ে সাড়ে দশটায় বিছানায় চলে গেলাম। গতকাল খাতমুল কুরআন হয়ে গেছে। এখন সূরা তারাবিহ চলছে।

Comments
Post a Comment