#Day19 #Ramadan 2021
রবিবার, ২ এপ্রিল।
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের একজন মহিলাকে বলেন: 'যখন রমজান হয় তখন উমরাহ আদায় কর, কারণ উমরাহ তখন হজ সমান।" (নিসাই)
মেন রাস্তার ধারে দারুল ফাউযের অবস্থান। হঠাৎ একটি বাসের হর্ণে ইতস্ততায় ঘুম ভেঙে যায়। বেশি আওয়াজে আমার হৃদয়স্পন্দন বেড়ে যায়। আমার মায়েরও তাই সমস্যা। খোলা পাকা ঘরে কুকুরের ঘেউ ঘেউ আর মাটির বাড়িতে টিনের ঠক ঠক আওয়াজ মায়ের রাত্রির ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। কতবার কতরকম চিকিৎসা করা হল কোন সুধার নেয়। আমি সময় সময় সংকল্প নিয়ে থাকি জেলা প্রশাসক হলে ডিজে বাজায় কঠোর ব্যান আরোপ করবো। ইনশা আল্লাহ্।
ঘুম ভাঙলে আমি মুখ-হাত-পা ধুতে আসি। ফিরার পথে দেখি বানাতের তিন মেয়ে এসে সিড়িতে বসে। আমি দেখে কি করবো ভেবে পায়না। মনে হয় রাস্তাযই হারিয়ে ফেলেছি। শৈশব থেকেই স্তৃভিরুতা আমার খুব। এর জন্য কখনও নিজেকে তিরস্কার করি আবার কখনও নিজের প্রশংসাও করি। তারাই সিড়ি থেকে উঠে গেলে আমি এগিয়ে যায়।
সকাল থেকে আজ অনেকেই মোবাইলে খবরের স্ক্রীনে চোখ রেখে। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে। বাংলার খেলা খুব জোরাল হলো। মমতার তৃণমূল বিপুল ভোটের সঙ্গে সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাস্ত করে ধারাবাহিক তিন তিন বার বাংলার শাসনভার বহন করলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে দিদি স্বয়ং শুভেন্দুর কাছে নন্দীগ্রামে পরাজিত। যাহোক, 'খেলা হবে' স্লোগানে বাংলা উত্তাল হয়ে নিজের মেয়েকেই চেয়েছে। ভীমপুর গ্রামে তো সারাদিন ধরে পাঁচটিরও বেশি ডিজে যাত্রা এলো আর গেলো। বিজয় উল্লাস উদযাপন তো হবেই; কিন্তু রমযান মাসে নেশাগ্রস্ত হয়ে ওই রকম উন্মাদনা যথাযথ নয়। চলমান যাত্রার অধিকাংশ মানুষ মুসলমান, তাই এই বিধান উল্লেখ্য করলাম। ভীমপুরে উদযাপন যাত্রা বেশি হওয়ার কারণ মাটির ছেলে মুশাররফ হোসেন মূরারাই বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন। তিনার না জিতার কোনো সংশয়ই ছিলনা। ভীমপুরের গর্ব হবে; উন্নতি হবে, মানুষ জীবন সুখ পাবেন। ডা. মুতাহার হোসেনের এবার পথিক হবেন তাঁর ছেলে মুশাররফ হোসেন। পরিবর্তন শুধু পার্টির। পিতা ছিলেন কংগ্রেসের আর পুত্র হলেন টিএমসির। আসলে এই লড়াইটি অন্য কারও বিরুদ্ধে নয়; একেবারে বিজেপির বিরূদ্ধে ছিল...। এখন দেশের তিন রাজ্য মিলে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃকার দেওয়াল তৈরি করে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলাড়ু আর কেরালা। সি.এ.এ নিয়ে এত বিক্ষোভ আন্দোলনেরও পর কিভাবে আসামে আবার যে চলে এলো, আশ্চর্যের বিষয়।
রাত্রে নাসিবুলের বাড়ি ঘুরে এলাম। আসার পথে ভীমপুর তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে দেখি অনিয়ন্ত্রণে বাজছে ডিজে।

Comments
Post a Comment