#Day16 #Ramadan #রমযান
বৃহষ্পতিবার, ২৯ এপ্রিল।
"যে ব্যাক্তি আন্তরিকতার সাথে এবং প্রতিদান অর্জনের আশায় এই মাসের রাত্রি জাগরণ করে (অর্থাৎ তারাবীহ নামাজ আদায় করে) তার অতীতের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।"
(বুখারী ও মুসলিম)
আজ বীরভূম বিধানসভা ক্ষেত্রে ভোট। পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যসভা ভোটের এটি শেষ সপ্তম দফা। গত কাল থেকে সমস্ত প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে। কোন পদের কোন মানুষ কোন দৃষ্টিতে এই লকদাউনে আমাদের শিক্ষার ক্রিয়াকলাপ দেখবে বলে মক্তব ছুটি দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকেই ভোট আরম্ভ হয়ে গেছে।
সমস্ত কিছু লকদাউনের দাপটে বন্ধ। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে সরকারের বেশি সতর্কতামূলক আচরণ। দেশের গতি প্রগতি নিয়ে কোন চিন্তা ভাবনা নেয়। নির্বাচন নিয়ে কোনো সমস্যায় নেয়; সমস্যা হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারের প্রবাল ভিড়ে। কিন্তু তাতে কোনো কার্যকরী প্রতিবন্ধকতা নেয়। ফলস্বরূপ, সারা দেশ বিশেষ করে শহরকেন্দ্রিক স্থানগুলিতে কোরোনার দ্বিতীয় প্রবাহ খুবই ভারী। হাসপাতাল প্রাথমিক সরঞ্জাম, বেড, কিটস, অক্সিজেনের চাহিদা মিটাতে অক্ষম। দেশের অবস্থা খুবই নাজুক। আরন্ধতি রায়ের প্রবন্ধ "আমরা মানবতার বিরুদ্ধে অত্যাচারের সাক্ষ্য দিচ্ছি"টি কালকে পরছিলাম। ২৭ এপ্রিলের রিপোর্ট তিনি তুলে ধরেন: শুধু মাত্র এই দিনে ৩২৩,১৪৪ নতুন কেস এবং ২,৭৭১ মৃত্যু সংখ্যা। হায় রে দুর্দশা! অসহায়তা দেখে বিদেশি সহায়তা চারিদিক থেকে আসছে। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন, ব্যাক্তিবর্গ ও মসজিদ কমিটিকে মহামারীর বিরোদ্ধে সংগ্রামের ফ্রন্টলাইনে দেখে বড়োই আনন্দ উপভোগ হয়। তাছাড়া মানবতার স্বার্থে যারা ময়দানে উপনীত থাকেন তাদের সবার সালাম।
বেলা ১০'টার দিকে ক্যাম্পাসে গেলাম কাপড় কাচতে। ওপেন বাথরুমের ট্যাংকে জল না থাকায়, গার্লস ক্যাম্পাসে এলাম। তাদের ছুটি এখন তাই নাফি উস্তাদ বললেন। কাপড় তো পরিষ্কার করলামই, সঙ্গে সঙ্গে মুখের খাট্টা রস সামলাতে না পেরে দুটো আমও পেরে নিলাম; ইফতারের পর খাবো।
মক্তবের ছেলেদের ফোন, উস্তাদের ইংলিশ কোর্স আর মহিলা ক্লাসের কাজেই দিনটা কেটে গেলো।
বৈকালে ইফতারের পথে যাওয়ার সময় ইচ্ছা হল যে নির্বাচন বুথ একবার দর্শন করি। উস্তাদ মুবাশশির ও ফাযল উস্তাদ এসে গেছেন দেখতে। যাওয়ার পথে একজন পুলিশ ফোর্সকে পেলাম। কাশ্মীর বর্ডারের জওয়ান ফিরদাউস হুসেইন। তাঁর সঙ্গেই বিভিন্ন কথা। ভোট নিয়ে, বর্ডার নিয়ে ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে। উস্তাদদ্বয়ও আমাদের সঙ্গে যোগ দেন। মুবাশশির উস্তাদের সাইকেলে যাওয়ার শোক। ফলে আমাকে হেঁটে যেতে হলো। নৈশ্যআহারের ক্ষেত্রেও হেঁটে যেতে হয়েছিল। রাত্রে কি ঝড়? বার হতেই ভয় লাগছিল। এদিকে আবার তারাবীও আজ বেশ লম্বা হয়েছিল। গ্রামের সফিকুল দা আমাদের সঙ্গে নামাযে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর কথায় নিয়ম হচ্ছে প্রত্যেক সালামের পর দুআ করতে হবে; শেষে সালাম পাঠ করতে হবে।
Comments
Post a Comment